বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অন্ধ আক্রোশের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানী ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির সমাবেশে খালেদার জিয়ার বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, এক কথায় যদি বলতে হয়, খালেদা জিয়ার বক্তব্য শেখ হাসিনার প্রতি অন্ধ আক্রোশের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।
খালেদা জিয়ার নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে, অন্য দেশগুলোতে যেভাবে হয় সেভাবে। সে সময় যে সরকার থাকবে, তারা ইসিকে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে সহায়তা দেবে।
খালেদা জিয়া নির্যাতনকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে যে দাবি করেছেন, সে প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জুলুম আওয়ামী লীগ করেনি, জুলুম করেছে বিএনপি। এটা দেশের জনগণ জানে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্যাতিত-নিপীড়িত হওয়ার কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ২১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর রক্তের দাগ খালেদা জিয়ার হাতে। জুলুম তিনি করেছেন, অথচ তিনি আজও জাতির কাছে ক্ষমা চাননি। খালেদা জিয়া হাওয়া ভবন গড়ে তুলে লুটপাট চালিয়েছেন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপির আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়া জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি করেছেন, পুড়িয়ে মানুষ মেরেছেন। তার কৃতকর্মের জন্য তাকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
খালেদা জিয়া এখন ক্ষমার নাটক করছেন, এ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি জানেন, তিনি যে মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন, তা আওয়ামী লীগ দেয়নি। তারই তৈরি করা লোকজন (১/১১ সরকার) মামলা দিয়েছে। খালেদা জিয়া জানেন, হয়ত এসব মামলায় তার দণ্ড হয়ে যেতে পারে, এজন্য তিনি ক্ষমার নাটক সাজিয়েছেন।
সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়- প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিদেশে বসে পদত্যাগের দিকে ইঙ্গিত করে দেওয়া খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের কেউ প্রধান বিচারপতির মতো একজনকে পদত্যাগ করাবে, এটা মনে করা হাস্যকর।
নির্বাচনে ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার বন্ধে খালেদা জিয়ার আহ্বানের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইভিএম সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। কিন্তু খালেদা এটা চান না। তিনি ২০০১ সালের মতো মেকানাইজড (যান্ত্রিক) নির্বাচন চান। তার মন্তব্য ইতিবাচকভাবে দেখছি। তবে এটা ইসির ব্যাপার।
নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন করার বিষয়ে খালেদা জিয়ার দাবি প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগও নির্বাচনে সেনাবাহিনী চায়। তবে সেটা আইন অনুযায়ী।
খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে কয়টা নির্বাচন করেছেন, এ প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এ কে এম এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply